শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১১

দূষিত বর্জ্যই হয়ে উঠলো পরিবেশ ও মানুষের অকৃত্তিম বন্ধু

ঢাকা রিপোর্ট ডট কম, আশুলিয়া (১ এপ্রিল) : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের রসায়নের এক শিক্ষক স্বল্প মূল্যে শিল্প কারখানার বর্জ্য শোধনের জন্য দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী করেছেন বর্জ্য শোধানাগার (ইটিপি প্লান্ট)। আবার সেই প্লান্টের উচ্ছিষ্ট কঠিন বর্জ্য থেকেই প্রস্তুত হচ্ছে উন্নত মানের জৈব সার। যা ব্যবহারের মাধ্যমে দূষিত বর্জ্যই হয়ে উঠলো পরিবেশ ও মানুষের অকৃতিম বন্ধু।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিজ্ঞানী ড.শফিউল্লাহ যার বহু আবিস্কারের মধ্যে অন্যতম একটি হলো বর্জ্য শোধন পদ্ধতি। বাংলাদেশের শিল্প বর্জ্য যা শোধন করার জন্য প্রচুর মুদ্রা চলে যেত বিদেশে। আর সেই বর্জ্য শোধানাগার বা ইটিপি প্লান্ট তিনি তৈরী করেছেন অল্প খরচে। বিদেশী প্রযুক্তিতে  দেড় লক্ষ লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন পানি শোধানাগারের জন্য খরচ হতো ১১ কোটি টাকা আর দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা খরচায় বানাতে পারেন উন্নত মানের শোধনাগার। আর সেই শোধনাগারের উচ্ছিষ্ট কঠিন বর্জ্য যা ছিলো পরিবেশ দুষনের ভয়াবহ উপাদান । আর তা তিনি ব্যবহার করছেন জৈব সার তৈরীর কাজে। যা দামী পিটের সম্পুরক হিসেবে কাজ করবে। এই সার প্রস্তুত ও গবেষণার জন্য আশুলিয়ার গকুল নগর গ্রামে নিজস্ব উদ্যোগে চালু করেছেন সুষমা সার কার খানা। ওই কারখানা থেকে সাভারের কৃষকরা এই সার নিয়ে জমিতে প্রযোগ করে ভালো ফল পাচ্ছেন।
সব্যসাচী বিজ্ঞানী ড. শফিউল্লার এই আবিস্কার সম্পর্কে বলেন এই প্লান্ট গাজীপুরের এপেকস্ গ্রুপে চালু করা হয়েছে। যা থেকে দেড় লক্ষ লিটার পানি শোধন করা হয়।পূর্বে একই ক্ষমতা সম্পর্ন্ন প্লান্ট বিদেশ থেকে থেকে কিনতে হতো ১১ কোটি টাকায় আর দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহ্যার করে তা প্রস্তুত করা হয়েছে মাত্র ১৫ লক্ষ টাকায়। তার এ প্রযুক্তি প্রসারের জন্য  দেশবাসীর পাশাপাশি সরকারের সহযোগীতা চেয়েছেন।

ঢাকা রিপোর্ট ডট কম/প্রতিনিধি/একেএ/আরএএম.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন